ডেস্ক রিপোর্ট।।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কক্সবাজার-৪ (উখিয়া-টেকনাফ) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেলেন বর্তমান সংসদ সদস্য শাহীন আক্তার। রোববার (২৬ নভেম্বর) বিকেলে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের প্রার্থী ঘোষণা করা হয়। তাতে আবারও মনোনয়ন পাননি সাবেক সংসদ সদস্য আবদুর রহমান বদি। তার স্ত্রী শাহীন আক্তারই পুনরায় দলটির মনোনয়ন পেয়েছেন।
বদি ও শাহীন আক্তার দু’জনেই আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছিলেন। তবে চূড়ান্ত মনোনয়ন তুলে দেয়া হলো শাহীন আক্তারের হাতেই।
গত নবম ও দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন আওয়ামী লীগ প্রার্থী আবদুর রহমান বদি। তবে দুর্নীতির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত এবং নানাভাবে বিতর্কিত হওয়ায় ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন থেকে বঞ্চিত হন তিনি। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাদক ব্যবসায়ীদের তালিকায় পৃষ্ঠপোষক হিসেবেও নাম আসে বদির। যদিও এসব অভিযোগ শুরু থেকেই অস্বীকার করে আসছেন সাবেক এই সংসদ সদস্য।
এ অবস্থায় একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বদির পরিবর্তে তার স্ত্রী শাহীন আক্তারকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন দেয়া হয়। নৌকা নিয়ে ভোটে জয়ীও হন স্বামীর আসনে।
মাদক চোরাচালান ও রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবিরের কারণে কক্সবাজার-৪ আসনটি দেশে-বিদেশে পরিচিত। এবার এ আসনে বদি ও তার স্ত্রীর বাইরে মনোনয়ন চাওয়াদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য প্রার্থী ছিলেন সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব শফিউল আলম।
এছাড়া, বদির শ্যালক জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরীও মনোনয়ন সংগ্রহ করেছিলেন। জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। তিনি রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদের টানা তিনবার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।
গত ২৩ নভেম্বর থেকে ২৫ নভেম্বর পর্যন্ত আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে দলটির সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভায় আসন্ন নির্বাচনের দলীয় প্রার্থী চূড়ান্ত করা হয়। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীক পেতে ৩০০ আসনের বিপরীতে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন ফরম কিনেছেন মোট তিন হাজার ৩৬৯ জন। প্রতি আসনে গড়ে ১১ জন এ ফরম কিনেছেন।
উল্লেখ্য, চলতি মাসের ১৫ তারিখে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হবিবুল আউয়াল নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন। তফসিল অনুযায়ী, নির্বাচনে প্রার্থীদের মনোনয়ন ফরম দাখিলের শেষ দিন ৩০ নভেম্বর, মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর, মনোনয়নের আপিল ও নিষ্পত্তি ৬ থেকে ১৫ ডিসেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১৭ ডিসেম্বর, প্রতীক বরাদ্দ ১৮ ডিসেম্বর, নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা ১৮ ডিসেম্বর থেকে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত এবং ভোটগ্রহণ ৭ জানুয়ারি।
পাঠকের মতামত